ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ত্রাণ উপদেষ্টা

দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনতে প্রস্তুতির বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।

সোমবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এ দেশের মানুষকে প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের মাধ্যমে আমরা শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি করি না, বরং নিজেদের প্রস্তুতিও বাড়াই।

জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে এবারের স্লোগান ‘দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি: বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যেই আজকের দিবস উদযাপনের গুরুত্ব নিহিত। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করাই দিবসটি পালনের লক্ষ্য।

‘কেবল মানবসম্পদ নয় বরং দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত যানবাহন ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার এবং এসব যন্ত্র ব্যবহারের দক্ষ জনবলের প্রস্তুতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

উপদেষ্টা বলেন, আজকের এই দিনটি দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য একটি অঙ্গীকারের দিন হোক। দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং সহায়তা আমাদের সুরক্ষিত ও সচেতন জাতি হিসেবে আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ত্রাণ উপদেষ্টা

দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনতে প্রস্তুতির বিকল্প নেই

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।

সোমবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এ দেশের মানুষকে প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, দুর্যোগের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের মাধ্যমে আমরা শুধু সচেতনতা বৃদ্ধি করি না, বরং নিজেদের প্রস্তুতিও বাড়াই।

জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে এবারের স্লোগান ‘দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি: বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যেই আজকের দিবস উদযাপনের গুরুত্ব নিহিত। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করাই দিবসটি পালনের লক্ষ্য।

‘কেবল মানবসম্পদ নয় বরং দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহৃত যানবাহন ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার এবং এসব যন্ত্র ব্যবহারের দক্ষ জনবলের প্রস্তুতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

উপদেষ্টা বলেন, আজকের এই দিনটি দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য একটি অঙ্গীকারের দিন হোক। দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং সহায়তা আমাদের সুরক্ষিত ও সচেতন জাতি হিসেবে আগামী দিনগুলোতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন