ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ:
জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে কঠোর আন্দোলন : রিহ্যাব আমদানি খুব সামান্য অথচ জুয়েলারিতে স্বর্ণে ভরপুর : এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যাংক খাত ঠিক হতে ২ থেকে ৩ বছর লাগবে : ড. আহসান এইচ মনসুর দেশের স্বার্থই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র এজেন্ডা : অর্থ উপদেষ্টা দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা বদলাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত পাচারের অর্থ ফেরাতে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ অনুমোদন পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে ২০.৬ শতাংশ টানা পতনে শেয়ারবাজার, হতাশায় বিনিয়োগকারীরা

কৃষি উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার: কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উপদেষ্টা বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।

উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতায় সময় এদেশের প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমান কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশ বর্তমানে দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে যদি আমরা বড় উদ্বেগের জায়গা, খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে উপদেষ্টা সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষত শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয় বলে উপদেষ্টা জানান। উপদেষ্টা খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ( শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মোঃ হারুনূর রশীদ। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেষে উপদেষ্টা বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এবছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Right to foods for a better life and a better future’ অর্থাৎ ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষি উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার: কৃষি উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উপদেষ্টা বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।

উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতায় সময় এদেশের প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমান কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশ বর্তমানে দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম ইত্যাদির উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে যদি আমরা বড় উদ্বেগের জায়গা, খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে উপদেষ্টা সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষত শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয় বলে উপদেষ্টা জানান। উপদেষ্টা খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ( শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মোঃ হারুনূর রশীদ। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেষে উপদেষ্টা বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

উল্লেখ্য, এবছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Right to foods for a better life and a better future’ অর্থাৎ ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি।

নিউজটি শেয়ার করুন