ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ:
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য উপদেষ্টা শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক, ২০% বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সামর্থ্য অর্থনীতিতে ফেরেনি: প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে মিশরে গাজা শান্তিচুক্তি সই চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ । চালু হলো বিনিয়োগকারীদের জন্য একক ডিজিটাল গেটওয়ে ‘বাংলা বিজ’ জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আদায়ে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি: এনবিআর ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে সমঝোতায় আসতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচনপরাজিত হলেও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার আবিদের ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

অর্থনীতিকে অবদান রাখছে প্লাস্টিক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের অর্থনীতিতে প্লাস্টিক সেক্টরের অবদান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। প্লাস্টিক সেক্টরের বিকাশের পাশাপাশি বাড়ছে রফতানি। বিদেশে বাংলাদেশী মান সম্পন্ন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। শিল্প, কৃষি, হাউজহোল্ড, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স, কৃষি, ওষুধ শিল্প, প্রকৌশল সামগ্রীসহ প্রায় সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার বিস্তৃত হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যের। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য রয়েছে। ১.২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাজার রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে প্লাস্টিক খাত।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিক খাত। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি প্লাস্টিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে সেক্টরের বিস্তৃতি। তবে প্লাস্টিক খাতে এখনো বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান রয়েছে, যা সেক্টরের অগ্রযাত্রার পথে বাঁধা হিসেবে কাজ করছে। অর্থনীতির আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অচীরেই এসব সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।


বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং এই খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আমরা প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তুলে সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া পুরানো ঢাকাস্থ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বাণিজ্যে অব্যাহত রাখার স্বার্থে শিল্পনগরীতে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য লাইসেন্স ইস্যু অব্যাহত রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।


সামিম আহমেদ জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিসিক মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৯৫.২৪ একর জমিতে একটি প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তুলছে, যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বিগত ২০২৩ সালে ৯ নভেম্বর অনুমোদন করেন। সভায় বিসিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী (সংশোধিত) এর জন্য ৫০৯.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিক এর উদ্যোগে সিরাজদিখান উপজেলার খারসুর মৌজায় প্রস্তাবিত এই বিসিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী প্রকল্পের মেয়াদকাল ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিক-এর উদ্যোগে সিরাজদিখানে শিল্প নগরীর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ করা। বিভিন্ন সময় পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নানা দুর্ঘটনা ঘটায় সরকারও উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের উপর জোর দিয়ে আসছে। ইতোপূর্বে পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিপিজিএমইএ থেকে তৈরিকৃত প্লাস্টিক শিল্প কারখানার একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক শিল্প নগরীর সার্বিক প্রক্রিয়া এখনো প্রলম্বিত করা হচ্ছে।


সামিম আহমেদ বলেন, পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সমস্যা দীর্ঘদিনের। এসমস্যা সমাধানের জন্য আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের দ্বারস্থ হয়েছি বারবার। কিন্তু বরফ গলেনি। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে নেয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স অব্যাহত রাখা। ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স সহ অন্যান্য অনুমোদন অব্যাহত রাখা। কিন্তু সরকার থেকে পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে এসব অনুমোদন এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থনীতিকে অবদান রাখছে প্লাস্টিক খাত

আপডেট সময় ১১:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

দেশের অর্থনীতিতে প্লাস্টিক সেক্টরের অবদান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। প্লাস্টিক সেক্টরের বিকাশের পাশাপাশি বাড়ছে রফতানি। বিদেশে বাংলাদেশী মান সম্পন্ন প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। শিল্প, কৃষি, হাউজহোল্ড, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স, কৃষি, ওষুধ শিল্প, প্রকৌশল সামগ্রীসহ প্রায় সর্বক্ষেত্রে ব্যবহার বিস্তৃত হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যের। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য রয়েছে। ১.২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাজার রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে প্লাস্টিক খাত।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্লাস্টিক খাত। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি প্লাস্টিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে সেক্টরের বিস্তৃতি। তবে প্লাস্টিক খাতে এখনো বিভিন্ন সমস্যা বিরাজমান রয়েছে, যা সেক্টরের অগ্রযাত্রার পথে বাঁধা হিসেবে কাজ করছে। অর্থনীতির আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অচীরেই এসব সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।


বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং এই খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। আমরা প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তুলে সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া পুরানো ঢাকাস্থ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বাণিজ্যে অব্যাহত রাখার স্বার্থে শিল্পনগরীতে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য লাইসেন্স ইস্যু অব্যাহত রাখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।


সামিম আহমেদ জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিসিক মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৯৫.২৪ একর জমিতে একটি প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তুলছে, যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বিগত ২০২৩ সালে ৯ নভেম্বর অনুমোদন করেন। সভায় বিসিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী (সংশোধিত) এর জন্য ৫০৯.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিক এর উদ্যোগে সিরাজদিখান উপজেলার খারসুর মৌজায় প্রস্তাবিত এই বিসিক প্লাস্টিক শিল্প নগরী প্রকল্পের মেয়াদকাল ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিক-এর উদ্যোগে সিরাজদিখানে শিল্প নগরীর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা রোধ করা। বিভিন্ন সময় পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নানা দুর্ঘটনা ঘটায় সরকারও উক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের উপর জোর দিয়ে আসছে। ইতোপূর্বে পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিপিজিএমইএ থেকে তৈরিকৃত প্লাস্টিক শিল্প কারখানার একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনেও তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক শিল্প নগরীর সার্বিক প্রক্রিয়া এখনো প্রলম্বিত করা হচ্ছে।


সামিম আহমেদ বলেন, পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সমস্যা দীর্ঘদিনের। এসমস্যা সমাধানের জন্য আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের দ্বারস্থ হয়েছি বারবার। কিন্তু বরফ গলেনি। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে নেয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স অব্যাহত রাখা। ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্স সহ অন্যান্য অনুমোদন অব্যাহত রাখা। কিন্তু সরকার থেকে পুরানো ঢাকাস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে এসব অনুমোদন এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন