সকল পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে : কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সকল পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে।
উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট আঞ্চলিক কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সিলেট অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সাথে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকের লাভ, কৃষির উন্নতি ও ফলন বাড়ানোর বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে। উপদেষ্টা এ বিষয়ে সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,জনসংখ্যা বাড়ছে, কৃষি জমি কমছে। তারপরও ১৮ কোটি লোককে খাওয়াতে পারছেন। এ কৃতিত্ব কৃষক, কৃষিবিদ, গবেষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেক কাজ করেছে। তাই ধানের উৎপাদন বেড়েছে।এখন ধান উৎপাদনে ১২০ দিন লাগে। এসময় কিভাবে ১০০ দিনে আনা যায় সেই জাত উদ্ভাবনের কাজ করার জন্য ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটকে নির্দেশনা দেন।
সার প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপাতত সারের কোন সংকট নাই। বীজেরও সংকট হবে না। কৃষক যাতে পরামর্শ, সার, বীজ ও পানি ঠিকমতো পায়। সারের ব্যবহার পরিমিত পরিমাণে করতে হবে। জৈব সার ব্যবহার বাড়াতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে কৃষি পণ্যের মূল্য সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। কৃষি বিষয়ক সকল পরিসংখ্যান যেন নির্ভরযোগ্য ও সঠিক হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, কৃষি জমি কোন ভাবেই কমানো যাবে না। কৃষি বিষয়ক যে কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এবার আমনের ফলন বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় আমন উৎপাদনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমরা আশা করছি বোরো ফলন ভালো হবে। দেশে চালের সংকট হবে না।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বিভাগীয় কমিশনার সিলেটসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।