ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ:
জীবনযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করার অঙ্গীকার নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টার ১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন না করলে কঠোর আন্দোলন : রিহ্যাব আমদানি খুব সামান্য অথচ জুয়েলারিতে স্বর্ণে ভরপুর : এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যাংক খাত ঠিক হতে ২ থেকে ৩ বছর লাগবে : ড. আহসান এইচ মনসুর দেশের স্বার্থই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র এজেন্ডা : অর্থ উপদেষ্টা দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা বদলাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত পাচারের অর্থ ফেরাতে বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ অনুমোদন পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে ২০.৬ শতাংশ টানা পতনে শেয়ারবাজার, হতাশায় বিনিয়োগকারীরা

সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারন বেড়িবাঁধ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
১০:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। এরইমধ্যে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের অন্তত নয়টি পয়েন্টে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের কারণে এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে পুরো জনপদ।

গাবুরার বাসিন্দা ওয়েজ কুরুনী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই আমরা বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। বাঁধ ভাঙার কারণে আমাদের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্পান, ইয়াস ও রেমালের পর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করেছে। তবে কিছু এলাকায় কাজ না করায় ফের ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে আতঙ্ক বেড়ে গেছে সেসব এলাকার মানুষের। একবার বাঁধ ভাঙলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আর কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

রমজাননগরের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গোলাখালির মানুষ খুবই অসহায় হয়ে পড়ে। দ্বীপ হওয়ায় সেখানে কোনো সাইক্লোন সেল্টারও নেই। পানিতে ডুবে থই থই করে।

পশ্চিম দুর্গাবাটি গ্রামের মলিনা রানি রপ্তান বলেন, খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে আমাদের বসবাস। আইলার পর থেকে প্রতিবছরই পশ্চিম দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আমাদের সবকিছু নদীর মধ্যে। জমি জায়গা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আবার ঝড় আসছে, কী হবে কে জানে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, উপকূলের বেশ কিছু পয়েন্টে বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। পানির চাপ বাড়লে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, জেলার ৬৮৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষের দুশ্চিন্তার কারন বেড়িবাঁধ

আপডেট সময় ১০:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। এরইমধ্যে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের অন্তত নয়টি পয়েন্টে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের কারণে এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে পুরো জনপদ।

গাবুরার বাসিন্দা ওয়েজ কুরুনী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই আমরা বাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। বাঁধ ভাঙার কারণে আমাদের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় আম্পান, ইয়াস ও রেমালের পর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করেছে। তবে কিছু এলাকায় কাজ না করায় ফের ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে আতঙ্ক বেড়ে গেছে সেসব এলাকার মানুষের। একবার বাঁধ ভাঙলে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আর কোনো কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

রমজাননগরের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গোলাখালির মানুষ খুবই অসহায় হয়ে পড়ে। দ্বীপ হওয়ায় সেখানে কোনো সাইক্লোন সেল্টারও নেই। পানিতে ডুবে থই থই করে।

পশ্চিম দুর্গাবাটি গ্রামের মলিনা রানি রপ্তান বলেন, খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে আমাদের বসবাস। আইলার পর থেকে প্রতিবছরই পশ্চিম দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আমাদের সবকিছু নদীর মধ্যে। জমি জায়গা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। আবার ঝড় আসছে, কী হবে কে জানে।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, উপকূলের বেশ কিছু পয়েন্টে বেড়িবাঁধ খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে। পানির চাপ বাড়লে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, জেলার ৬৮৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন