সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে১৩ নির্দেশনার পরিপত্র জারি
সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যক পরিহারসহ বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ, দীয়াদির্ঘমে প্রশিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া, উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি করে নতুন ১৩ দফা নির্শনা দিয়েছে সরকার। নতুন এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে নয়া নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
এর আগে ডলার সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনায় যে ১৩ দফা রয়েছে তার মধ্যে সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা আগে জানিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতাও আরোপ করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয় ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরিতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার অফিস এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেই সাথে সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহারের নির্দেশনায় জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার নির্দেশনাও রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থার প্রধানরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে এক রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিদেশে অনুষ্ঠাতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন তেমন তথ্য সন্নিবেশ করতে বলা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশকালে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে কেনাকাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্রেরণের বিষয় বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংযুক্ত করার নির্দেশনাও রয়েছে নতুন জারি করা পরিপত্রে।










