ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ:
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য উপদেষ্টা শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক, ২০% বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সামর্থ্য অর্থনীতিতে ফেরেনি: প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে মিশরে গাজা শান্তিচুক্তি সই চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ । চালু হলো বিনিয়োগকারীদের জন্য একক ডিজিটাল গেটওয়ে ‘বাংলা বিজ’ জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আদায়ে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি: এনবিআর ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে সমঝোতায় আসতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচনপরাজিত হলেও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার আবিদের ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

এমপক্সের প্রাদুর্ভাব, সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে আরও দুজন এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ভয়াবহ এই সংক্রামক রোগে আক্রান্তের দ্বিতীয় কেস শনাক্তের পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয়।

রাজধানী ফ্রিটাউনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্টিন ডেম্বি বলেন, দেশে এমপক্সের দুটি কেস নিশ্চিত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সিয়েরা লিওন সরকারের পক্ষ থেকে আমি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।

গত বছর থেকেই আফ্রিকায় এমপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। সে সময়ই আফ্রিকান ইউনিয়ন এই ভাইরাসের জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এদিকে গত সপ্তাহে সিয়েরা লিওনে এমপিক্সের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

জাতীয় গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি, ২১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি আরও একটি কেস শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুজনের কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেনি। প্রথম গত ৬ জানুয়ারি আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

এমপক্সের প্রাদুর্ভাব, সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫


পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে আরও দুজন এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার ভয়াবহ এই সংক্রামক রোগে আক্রান্তের দ্বিতীয় কেস শনাক্তের পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয়।

রাজধানী ফ্রিটাউনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্টিন ডেম্বি বলেন, দেশে এমপক্সের দুটি কেস নিশ্চিত হওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সিয়েরা লিওন সরকারের পক্ষ থেকে আমি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।

গত বছর থেকেই আফ্রিকায় এমপক্সের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। সে সময়ই আফ্রিকান ইউনিয়ন এই ভাইরাসের জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এদিকে গত সপ্তাহে সিয়েরা লিওনে এমপিক্সের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

জাতীয় গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি, ২১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি আরও একটি কেস শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুজনের কেউই এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্য কোনো প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেনি। প্রথম গত ৬ জানুয়ারি আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন