ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ:
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য উপদেষ্টা শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক, ২০% বাড়িভাড়া বৃদ্ধির সামর্থ্য অর্থনীতিতে ফেরেনি: প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে মিশরে গাজা শান্তিচুক্তি সই চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ । চালু হলো বিনিয়োগকারীদের জন্য একক ডিজিটাল গেটওয়ে ‘বাংলা বিজ’ জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আদায়ে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি: এনবিআর ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে সমঝোতায় আসতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা ডাকসু নির্বাচনপরাজিত হলেও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার আবিদের ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু

জেলা প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসু’ আজ থেকে শুরু হয়েছে। গঙ্গা পূজা এবং নারীদের পরিধেয় কাপড় রিনাই রিসা পানিতে ভাসিয়ে উৎসব শুরু করেছে ত্রিপুরারা।

রোববার (১৩ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি বিভিন্ন এলাকায় প্রবাহমান ছড়া খালে গঙ্গা দেবির উদ্দেশ্যে নানারকম ফুল দিয়ে পূজা করেন ত্রিপুরারা। নিজস্ব পোশাকে দলবদ্ধ হয়ে নানা বয়সী ত্রিপুরা নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন।

ত্রিপুরারা হারি বৈসু, বৈসুমা, বিসি কাতাল নামে ‘বৈসু’ উৎসব তিন দিন পালন করেন। গঙ্গা পূজা এবং নতুন তৈরি নারীদের পরিধেয় কাপড়ের টুকরো নাদীর পানিতে ভাসিয়ে উৎসবের শুরু করা হয়। প্রতিটি পরিবার পাজনসহ সাধ্য মতো আয়োজন করেন। প্রতিটি গ্রামে গরয়া নৃত্য দল তাদের পরিবেশনা করেন। চলে অতিথি আপ্যায়ন। ত্রিপুরারা বছরের শেষ দিনে নিরামিষ খেলেও প্রথম দিন আমিষসহ নানা পদের আয়োজন থাকে।

খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর এলাকায় গঙ্গা পূজায় অংশ নেওয়া স্মৃতি ত্রিপুরা বলেন, ত্রিপুরাদের প্রধানত সামাজিক উৎসব বৈসু। বৈসুর প্রথম দিন গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করি। বড়দের প্রণাম করি, প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যাই। তিন দিন আমরা উৎসব করি।

সাগরিকা ত্রিপুরা বলেন, আজ হারি বৈসুর দিনে গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করি আগামী বছর যেন শুভ হয়। নিজের পরিবারের পাশাপাশি বিশ্বের সবার মঙ্গলের জন্য গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছি।

মিনু ত্রিপুরা বলেন, নদীতে নতুন কাপড় তৈরি করে গঙ্গা দেবির উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দেই। দেবীর আশীর্বাদ নিতে, যাতে করে আমরা আরও ভালো করে ফুল নকশা তৈরি করতে পারি।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, খাগড়াছড়িতে এবার বর্ণাঢ্য ভাবেই বৈসাবি উৎসব হচ্ছে। ভয়ভীতিহীন সবাই নিজের মতো করে উৎসব করতে পারছে।

এছাড়া আজ চাকমা সম্প্রদায়ের বিঝু’র দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিঝু’ চলছে। ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন করছেন চাকমারা। অতিথি আপ্যায়নে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাজনসহ নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করেন।

আগামীকাল খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হবে। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘জলকেলি’ বা পানি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

খাগড়াছড়িতে বসবাসরত ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসু’ আজ থেকে শুরু হয়েছে। গঙ্গা পূজা এবং নারীদের পরিধেয় কাপড় রিনাই রিসা পানিতে ভাসিয়ে উৎসব শুরু করেছে ত্রিপুরারা।

রোববার (১৩ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি বিভিন্ন এলাকায় প্রবাহমান ছড়া খালে গঙ্গা দেবির উদ্দেশ্যে নানারকম ফুল দিয়ে পূজা করেন ত্রিপুরারা। নিজস্ব পোশাকে দলবদ্ধ হয়ে নানা বয়সী ত্রিপুরা নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন।

ত্রিপুরারা হারি বৈসু, বৈসুমা, বিসি কাতাল নামে ‘বৈসু’ উৎসব তিন দিন পালন করেন। গঙ্গা পূজা এবং নতুন তৈরি নারীদের পরিধেয় কাপড়ের টুকরো নাদীর পানিতে ভাসিয়ে উৎসবের শুরু করা হয়। প্রতিটি পরিবার পাজনসহ সাধ্য মতো আয়োজন করেন। প্রতিটি গ্রামে গরয়া নৃত্য দল তাদের পরিবেশনা করেন। চলে অতিথি আপ্যায়ন। ত্রিপুরারা বছরের শেষ দিনে নিরামিষ খেলেও প্রথম দিন আমিষসহ নানা পদের আয়োজন থাকে।

খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর এলাকায় গঙ্গা পূজায় অংশ নেওয়া স্মৃতি ত্রিপুরা বলেন, ত্রিপুরাদের প্রধানত সামাজিক উৎসব বৈসু। বৈসুর প্রথম দিন গঙ্গা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে পূজা করি। বড়দের প্রণাম করি, প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের বাসায় বেড়াতে যাই। তিন দিন আমরা উৎসব করি।

সাগরিকা ত্রিপুরা বলেন, আজ হারি বৈসুর দিনে গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করি আগামী বছর যেন শুভ হয়। নিজের পরিবারের পাশাপাশি বিশ্বের সবার মঙ্গলের জন্য গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছি।

মিনু ত্রিপুরা বলেন, নদীতে নতুন কাপড় তৈরি করে গঙ্গা দেবির উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দেই। দেবীর আশীর্বাদ নিতে, যাতে করে আমরা আরও ভালো করে ফুল নকশা তৈরি করতে পারি।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, খাগড়াছড়িতে এবার বর্ণাঢ্য ভাবেই বৈসাবি উৎসব হচ্ছে। ভয়ভীতিহীন সবাই নিজের মতো করে উৎসব করতে পারছে।

এছাড়া আজ চাকমা সম্প্রদায়ের বিঝু’র দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিঝু’ চলছে। ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন করছেন চাকমারা। অতিথি আপ্যায়নে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাজনসহ নানা ধরনের খাবার পরিবেশন করেন।

আগামীকাল খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হবে। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘জলকেলি’ বা পানি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন