ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:২২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে সেবা খাতে দুর্নীতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।

দেশে পাসপোর্ট, ভূমি এবং বিচারিকসহ নাগরিক নানা সেবা নিতে ২০২৩ সালে প্রতিটি পরিবার গড়ে ঘুষ দিয়েছে ৫ হাজার ৬৮০ টাকা। দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেবা নিতে যাওয়া ৮২ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে।

শুধুমাত্র বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষকে গড়ে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও জানায় টিআইবি। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, জরিপে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাদের দুর্নীতি রোধ করার কথা তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছেন। যে কারণে দুর্নীতি কমছে না। গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার।

পাসপোর্ট খাত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচ সেবা খাতের মধ্যে শীর্ষে ছিল পাসপোর্ট খাত। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি রোধে অনেক কথাই বলে কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না বলেও অভিযোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, দুদক সবচেয়ে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর সরকারি অফিস বিশেষ করে পাসপোর্টে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করা হয়। যেখান থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাহলে এসব বন্ধ করবে কে?

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা

আপডেট সময় ১২:২২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে সেবা খাতে দুর্নীতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, ১৫ বছরে সাধারণ মানুষকে নাগরিক সেবা নিতে মোট ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে নাগরিক সেবা নিতে গিয়ে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।

দেশে পাসপোর্ট, ভূমি এবং বিচারিকসহ নাগরিক নানা সেবা নিতে ২০২৩ সালে প্রতিটি পরিবার গড়ে ঘুষ দিয়েছে ৫ হাজার ৬৮০ টাকা। দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেবা নিতে যাওয়া ৮২ শতাংশ মানুষকে ঘুষ দিতে হয়েছে।

শুধুমাত্র বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষকে গড়ে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলেও জানায় টিআইবি। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, জরিপে অংশ নেয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাদের দুর্নীতি রোধ করার কথা তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছেন। যে কারণে দুর্নীতি কমছে না। গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার।

পাসপোর্ট খাত সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত পাঁচ সেবা খাতের মধ্যে শীর্ষে ছিল পাসপোর্ট খাত। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি রোধে অনেক কথাই বলে কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না বলেও অভিযোগ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, দুদক সবচেয়ে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর সরকারি অফিস বিশেষ করে পাসপোর্টে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করা হয়। যেখান থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাহলে এসব বন্ধ করবে কে?

নিউজটি শেয়ার করুন