মনি কিশোরের মৃত্যু, সুরতহাল প্রতিবেদনে যা জানা গেছে
নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মৃত্যুতে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন সবাই তার মৃত্যুর আসল কারণ জানার জন্য মুখিয়ে আছেন। জানা গেছে, মৃত্যুর সময় মনি কিশোরের পরনে ছিল কালো আন্ডার প্যান্ট ও কালো মোবাইল প্যান্ট।
মাথায় ছিল কালো নকল চুল। চোখ ছিল বন্ধ। দৈহিক অবস্থায় বলা হয়েছে, শরীরে আংশিক পচন ধরেছে, নাক, কান, মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হয়েছে।
সুরতহাল প্রতিবেদনের জখমের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘মাথার স্বাভাবিক চুল কালো। কপাল ফোলা, গলা, পিঠ ফোলা। ডান দিকে ছড়ানো বাম হাত ফোলা। বাম দিকে ছড়ানো ডান হাত, আঙুল ফোলা। বুক ও পিঠ ফোলা। পিঠ ফোলা কোমর পর্যন্ত। দুই পা হাঁটুতে আধাভাঁজ করা, পায়ের পাতা ও আঙুল ফোলা। মৃত দেহ ওলটপালট করে দেখা গেছে (খালিচোখে)- শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্তে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
মনি কিশোরের মরদেহ গতকাল (১৯ অক্টোবর) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। চার থেকে পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মনি কিশোর গেয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক গান। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। কিন্তু এই মাধ্যমগুলোতে খুব কমই গান গেয়েছেন তিনি। মূলত নব্বইয়ের দশকের রমরমা অডিও বাজারের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী ছিলেন তিনি। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ উল্লেখযোগ্য।
মনি কিশোরের আসল নাম ‘মনি মন্ডল’। বিখ্যাত শিল্পী কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে তিনি ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন। অডিও বাজারের জনপ্রিয় শিল্পী হলেও সিনেমায় তিনি খুব কম গান গেয়েছেন। মনি কিশোরের সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার/বলো না তুমি’। তার লেখা ও সুর করা এই গানটি ‘কে অপরাধী’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন।