বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশ অধিনায়ক
পর্দা নামছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। দুবাইয়ের শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। যে দলই জিতুক, নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারে দেখা যাবে নতুন এক চ্যাম্পিয়নকে। আর এই ফাইনালের আগে চলতি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের ওয়েবসাইটে এক নিবন্ধে প্রকাশ করেছে এই একাদশ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই একাদশে একমাত্র এশিয়ান ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। টাইগ্রেসদের সবচেয়ে বড় তারকা বিশ্বকাপে খুব বেশি মনে রাখার মতো পারফর্ম করতে পারেননি। বাংলাদেশ দলও পায়নি প্রত্যাশিত সাফল্য। তবে স্ট্যাম্পের পেছনে জ্যোতি ঠিকই নিজের কাজটা ঠিকভাবেই করেছেন। ব্যাট হাতেও গড় ছিল ৩৪ এর বেশি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই দলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন ৪ জন। নিউজিল্যান্ড থেকে জায়গা পেয়েছেন ৩ জন। অস্ট্রেলিয়ার নারী দল থেকে জায়গা পেয়েছেন ২ জন। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এসেছেন ১ জন করে।
ওপেনার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটিকেই বেছে নেয়া হয়েছে। প্রোটিয়া অধিনায়ক লরা উলভার্ট এবং তাজমিন ব্রিটস থাকছেন ওপেনার হিসেবে। ৫ ম্যাচে লরা উলভার্ট করেছেন ১৯০ রান। আর তাজমিনের রান ১৭০। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুজনেই। আজকের ফাইনালেও তাদেরই দিকে তাকিয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডাউনে আছেন নিউজিল্যান্ডের জর্জিয়া প্লিমার। ৫ ম্যাচে তাজমিনের সমান ১৭০ রান তার। সোফি ডিভাইনের সঙ্গে তার শক্ত ভূমিকাই ২০১০ সালের পর প্রথমবার নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
বিশ্বকাপের এই দলে দ্রুতগতির রান তোলার দায়িত্ব দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজানে কাপ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিয়ান্দ্রা দোতিনের। ৫ ম্যাচে ৮২ রান করা কাপের এবারের আসরে স্ট্রাইকরেট ১৫১ এর বেশি। সঙ্গে বল হাতে আছে ৫ উইকেট। দোতিন ১৬২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১২০ রান। উইকেট পেয়েছেন ৫টি।
দোতিন ও জ্যোতি- দুজনেই জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা একাদশে
আসরের সেরা অলরাউন্ডারের নামটা আছে এরপরেই। ৫ ম্যাচে ৯২ রান নিউজিল্যান্ডের অ্যামিলিয়া কারের। সঙ্গে ৪.৬০ ইকোনমিতে বল করে পেয়েছেন ১২ উইকেট। সিরিজসেরার দৌড়ে থাকা কারের জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ছিল এই একাদশে।
৪ ম্যাচে ৩৪.৬৬ গড়ে বিশ্বকাপে ১০৪ রান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। ব্যাটে পিছিয়ে থাকলেও এবারের আসরে উইকেটের পেছনে সেরা ছিলেন তিনিই। নিয়েছেন ১ ক্যাচ। করেছেন ৬ স্ট্যাম্পিং। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতেও ছিলেন ভরসা হয়ে।
বোলারদের মধ্যে আছেন দুই অজি তারকা অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড এবং মেগান শ্যুট। সাদারল্যান্ড ১০ এর বেশি রান দিয়ে পেয়েছেন ৯ উইকেট। মেগানের উইকেট ৮টি। কিউই বোলার ইডেন কার্সনও ৮ উইকেটের সুবাদে জায়গা করে নিয়েছেন এই স্কোয়াডে। দলের শেষ সদস্য ননকুলুলেকো এমলাবা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলার আসরে পেয়েছেন ১০ উইকেট।